রাজশাহী জেলাধীন বাঘা উপজেলার কলাবাড়ীয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর। স্ত্রী সন্তানসহ ৫ জনের সংসার তার একার আয়ে চালাতে গিয়ে তিনি চোখে অন্ধকার দেখতেন। তার নিজের চাষযোগ্য কোন জমি ছিল না। তিনি ১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসে বিআরডিবি’র পল্লী দারিদ্র্য সমবায় প্রকল্প (বর্তমানে আরএলপি) সমিতির সদস্য হন। ২৫ জনের সমিতিতে তিনি সমিতির ম্যানেজার নির্বাচিত হন। তার যোগ্য নেতৃত্বে সমিতির কার্যক্রম সফলভাবে এগিয়ে চলে। তিনি বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের উপর প্রশিক্ষণ নেন। সমিতির ঋণ গ্রহনের যোগ্যতা অর্জন করলে তিনি মুরগী পালনের জন্য ১ম বার ৪,০০০/- টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। প্রথম বছরেই তিনি ঋণ পরিশোধ করে ৩০০০/- টাকা লাভ করেন। এভাবে তিনি ১৮ বছরে ১,৭০,০০০/- টাকা ঋণ গ্রহণ করে তা যথানিয়মে পরিশোধ করেন। বর্তমানে তার খামারে ২,০৭৩ টি মুরগী আছে। তাছাড়া তিনি ২টি বিদেশী গাভী ক্রয় করেছেন। বর্তমানে তার মুরগীর খামার ও গাভীর দুধ বিক্রি করে মাসে আয় হয় প্রায় ২০,০০০/- টাকা। তার তিন ছেলে মেয়ে সবাই লেখা পড়া করছে । ২০০১ ,২০১০ এবং ২০১৩ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বাঘা ইউসিসিএলিঃ এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারনে বর্তমানে তিনি স্থানীয় মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিআরডিবি’র সার্বিক সহযোগীতায় এখন তিনি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এবং সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুখী জীবনযাপন করছেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS